Posts

২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঠিক কি কি থাকবে ? বিস্তারিত সিলেবাস

Image
২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস 

পড়া মনে রাখার ৩টি বিশেষ কৌশল - লিখেছেন শিক্ষক T.K.Dey

Image
পড়া যেন তৈরিই হয়েছে ভুলে যাওয়ার জন্য । চঞ্চল মনের মধ্যে তারা আসে আর যায় । এই পড়াদের কিভাবে মাথার ভিতর লকডাউন করে রাখা যায় তার  ৩ টি এমন পদ্ধতির কথা এখানে বললাম যেগুলো ব্যবহার করে আমার অনেক ছাত্র ছাত্রী উপকৃত হয়েছে । তোমরাও উপকৃত হবে আশাকরি ।  ১। নেমোনিক বা ছন্দ করে নাও - এটা হল কোনো কঠিন তথ্যকে সহজ ও পরিচিত জিনিসের সাথে জুড়ে বা কোনো ছন্দ তৈরি করে মনে রাখার কৌশল ।  যেমন সেই বিখ্যাত লাইন- বাবার হল আবার জ্বর সারিল ঔষধে - সম্বন্ধে তো সবাই শুনেছ । এটা মনে রাখলেই ইতিহাসের মোঘল বাদশাহদের নাম অর্থাৎ বাবর , হুমায়ুন , আকবর , জাহাঙ্গীর ,শাহজাহান ও ঔরঙ্গজেবের কথা পর্যায়ক্রমে মনে থাকে । ঠিক এরকম ভাবেই তোমাদেরকে নিজস্ব নেমোনিক ও ছন্দ বানিয়ে নিতে হবে । আরেকটি উদাহরন দিই -  লালু অতি সুন্দর , ভুলু অতি কালো , লালু ভুলু দুজনেই ট্যারা এই কথাটি দিয়ে তুমি সারাজীবন ত্রিকোণমিতির প্রধান এই সূত্রটি মনে রাখতে পারবে ।  লালু [ লম্ব ]  / অতি [ অতিভুজ ] = সুন্দর [ sin θ  ] ।  ভুলু [ ভুমি ] / অতি [ অতিভুজ ] = কালো [ cos θ  ] ।  লালু [ লম্ব ] / ভুলু [ ভুমি ] = ট্যারা [ tan θ  ]  ২। স্মৃতিপট ঃ তোমরা পটচিত্র দেখেছ ?

অঙ্কে ভয় পাও ? জেনে নাও কিছু টিপস - লিখছেন শিক্ষক T.K Dey

অঙ্কের প্রয়োজন যেমন আদি যুগেও ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ঠিক তেমনই অঙ্কের প্রতি ছাত্র ছাত্রীদের ভয় আদিতেও ছিল , এখনো আছে - ভবিষ্যতেও হয়ত থাকবে । কিন্ত ভয় শুধু তাদের জন্য যারা সঠিক নিয়ম জানে না । এসো আজ তোমাদের জানাই অঙ্কে ভয় কাটিয়ে ওঠার সিক্রেট -  প্রথমত অঙ্কের যে কোনো চ্যাপ্টার শুরু করার আগে সেই চ্যাপ্টারের অঙ্ক বোঝার জন্য যে বেসিক নলেজ থাকা প্রয়োজন সেটা রেডি করে নিতে হবে। যেমন ধরো - তুমি উপপাদ্য নিয়ে বসেছ কিন্ত ত্রিভুজ কাকে বলে বা বৃত্তের কেন্দ্র কোনটা এই নলেজ যদি না থাকে তাহলে সে চ্যাপ্টারের কিছুই মাথায় ঢুকবে না । তাই যে স্যার বা ম্যামের কাছে তুমি অঙ্ক শেখো , কোনো চ্যাপ্টার শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করে নেবে - মিনিমাম কি জ্ঞান নিয়ে  সেই চ্যাপ্টার শুরু করা উচিত । হয়ত তোমার সমস্যা গোঁড়াতেই আটকে আছে !! কয়েকটা চ্যাপ্টারে এইভাবে চেষ্টা করলেই সমস্যা ঠিক কোথায় তা নিজেই বুঝতে পারবে । অনেক সময় ব্যাচে পড়তে গেলে এইরকম প্রশ্ন করার উপায় থাকে না - সেক্ষেত্রে বাবা , মা , স্কুলের শিক্ষক বা কোনো দাদা'র কাছ থেকে গোড়ার জিনিসটা শিখে নেবে । নিশ্চিত ভাবে উপকৃত হবে ।  এবার জেনে নাও চ্যাপ্টার শুরু

তুমি কি অনুপ্রেরণার অভাবে ভুগেছ ? এই গল্পটা পড়ো - শিক্ষক শ্রী সত্য মজুমদার

  প্রিয় ছাত্র/ছাত্রী , তুমি কি কখনো অনুপ্রেরণার অভাবে ভুগেছ ? তোমার কি কখনো মনে হয়েছে যে তোমাকে অনুপ্রেরণা জোগানোর কেউ নেই ? ভালোবেসে সাহস জোগানোর কেউ নেই ? জীবনে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখানোর কেউ নেই ? তাহলে এই গল্পটি পড়ো , তোমার মনে সাহস আসবেই ।  এক বর্ষার বিকেলে আকাশ কালো করে ঝুম বৃষ্টি নেমেছে, মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির ঝংকারে মাতোয়ারা ব্যাঙের দল ঘ্যাঙরঘ্যাঙ রব তুলে নাইতে বেরিয়েছে সদলবলে। মাঠের পারে পুরোনো একটা কুয়ো, তার দেয়ালে সবাই বসে তাইরে নাইরে না গাইছে গলা ছেড়ে, এমন সময় পা পিছলে কিভাবে যেন দুটো ব্যাঙ ঝপাস করে পড়ে গেল কুয়োয়! গান থামিয়ে সবগুলো ব্যাঙ ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে দেখে কুয়োর তলে ভাসছে বেচারা ব্যাঙ দুটো। “ কুয়োটা ভীষণ গভীর ! কোন ওস্তাদেরও সাধ্য নেই এখান থেকে উঠে আসার।” বিরসবদনে বলে উঠলো পালের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাঙটি। সবাই মাথা নাড়লো কথাটি শুনে, ঠিক বলেছে বুড়ো, কুয়োর জল এত্তো গভীরে, সেখান থেকে লাফ মেরে উঠে আসা চাট্টিখানি কথা নয়! কালচে জল অন্ধকারে প্রায় দেখা যায়না হাপুসহুপুস শব্দে লাফ দিয়ে বেড়াচ্ছে দিশেহারা ব্যাঙ দু’টি, প্রাণপণে চেষ্টা করছে দেয়াল বেয়ে উঠে

পড়তে ভালো লাগে না ? মনোযোগ নেই । কি করবে ? - শিক্ষক শ্রী নারান চন্দ্র সাহা

পড়া আর পড়া। স্কুলের পড়া, টিউশনের পড়া। পড়াশুনার পাট চুকিয়ে কর্মস্থলে গেলেও পড়া। সমস্যা আরো কঠিন হয় তখন, যখন লকডাউনে বাড়িতে থেকে পড়তে আর ভালো লাগে না। কিন্তু পড়তে তো হবেই। এর ছাড়া তো বিকল্প নেই। তবে কিছু কৌশল আছে, যা অবলম্বন করলে পড়ায় মনোযোগ আনা সম্ভব। আসো জেনে নেই সেসব বিষয়গুলো। পড়ায় আগ্রহ তৈরির কৌশল: ১. প্রথমেই তোমাকে জানতে হবে কেন পড়ছ । যখন তুমি বুঝবে , এই পড়াটা ভালোভাবে করার মাধ্যমেই তুমি ভালো রেজাল্ট করতে পারবে এবং তোমার পক্ষে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে , তখনই তুমি আরো আগ্রহী হবে । আর আগ্রহ থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ এমনিতেই আসে। ২. বিষয়ের বৈচিত্র্য রাখতে হবে । ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন সাবজেকট পড়ো । একঘেয়েমি আসবে না। নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করো । রং বেরঙ্গের পেন দিয়ে বই দাগানোর অভ্যাস করতে পারো । এটিও পড়াকে আনন্দঘন করে তুলতে সাহায্য করে। ৩. মনোযোগের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দ। পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করে নাও - কী পড়বে , কেন পড়বে, কতক্ষণ ধরে পড়বে । পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নাও । যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী পড়ব। ৪. এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক

রাত জেগে পড়া ভালো না ভোর বেলা পড়া ভালো ? লিখছেন - শিক্ষক শ্রী সুশান্ত কুমার বিশ্বাস

প্রথমেই বলি সারা রাত জেগে পড়ালেখা করা কোন বিরাট কৃতিত্বের কথা নয়! রাত জেগেছো মানেই তুমি বিশাল কিছু করে ফেলেছ এমন ভাববে না । খুব পরিস্কার করে একটা কথা মনে রাখো মানুষের শরীর একটি উন্নত মানের যন্ত্র, কিন্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম না দিলে সে যন্ত্র খারাপ হবেই। দেখা যাবে সময় বাঁচাতে তুমি কম ঘুমালে, তারপর সারাদিন কাটলো ঢুলুঢুলু চোখে, কাজের কাজ হলো না কিছুই, অল্প কয়টি ঘন্টা বাঁচাতে গিয়ে পুরো দিনটিই নষ্ট করলে। তাই প্রতিরাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম ভীষণ প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যের জন্য ও পড়া মনে রাখার জন্য । রাতে যদি বেশীক্ষন জেগে পড়া করো - তাহলে সকালে দেরি করে উঠতে হবে- এর বিকল্প নেই । ৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে ব্রেন কোনোভাবেই পড়া ধরে রাখতে পারবে না । স্মৃতি কমজোর হবে । টেনশন বাড়বে । আল্টিমেট কোনো লাভ হবে না । বরং অবসাদ ধরা দিতে পারে ।  অবশ্য অবসাদ কাটাতে, আর মনোযোগ ধরে রাখতে ব্যায়াম দারুণ কাজের একটি জিনিস। প্রতিদিন অল্প-স্বল্প ব্যায়াম করলে দেখবে বেশ সতেজ লাগছে শরীরটা, আগের মত পড়ার টেবিলে বসলেই ঘুমে মাথা ঢুলছে না! তাহলে - রাত জেগে পড়া ভালো না খারাপ ?  অবশ্যই সেটা তোমার উপরে নির্ভর করছে । রাতের পরিবেশ থাকে

ভালো রেজাল্টের সিক্রেট কি ? লিখছেন শিক্ষক শ্রী দয়াল হালদার

শুধু মাধ্যমিকই নয় , জীবনের যে কোনো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের সিক্রেট আজ তোমাদের জানাবো । তোমরা কি আলিবাবা ডট কম ওয়েবসাইটের নাম শুনেছ ? চীনের সবথেকে বড় অনলাইন সেলিং কোম্পানী । পৃথিবীতেও এটি প্রথম ৫-এর একটি । এই কোম্পানীর মালিকের নাম জ্যাক মা । জ্যাক মা-এর জীবন থেকে আমরা শিখতে পারবো সফলতার সিক্রেট । এসো জেনে নি তার সম্বন্ধে , তারই দেওয়া এক বক্তৃতা থেকে - জ্যাক মা "- প্রাইমারিতে দুইবার ফেল, মাধ্যমিকে তিনবার ফেল, কলেজে ভর্তির পরীক্ষায় তিনবার ফেল, চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ হয়েছি আমি। চীনে যখন KFC আসে তখন ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করে৷ এর মধ্যে২৩ জনের চাকরি হয়৷ শুধুমাত্র একজন বাদ পড়ে, আর সেই ব্যক্তিটি আমি৷ এমনও দেখা গেছে চাকরির জন্য পাঁচ জন আবেদন করেছে তন্মধ্যে চার জনের চাকরি হয়েছে বাদ পড়েছি শুধুই আমি৷ প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে ১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি৷'' জানো কি , এই জ্যাক মা এখন পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি [ ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ] । লক্ষ করলে দেখবে তাঁর খুব বেশি তথাকথিত ট্যালেন্ট ছিলেন না। ট

ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিছু কথা সব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য

স্বনামধন্য লেখক , প্রফেসর , সম্পাদক ও একজন প্রকৃত গাইড ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিছু কথা এখানে দেওয়া হল , আশাকরি চলার পথে ওনার এই কথাগুলো তোমাকে পথ চলতে সাহায্য করবে ।  তর্ক করবেন না তর্ক করবেন না। আপনি তর্কে জয়ী হলে অপরপক্ষ আপনার শত্রু হবে আর তিনি জয়ী হলে আপনার শত্রু হবেন। তর্ক করে লাভ হয় না, সময় নষ্ট হয়। সম্পর্কও নষ্ট হয়। তার চেয়ে ইচ্ছা করেই হেরে যান। অপরপক্ষকে তার অহংকার নিয়ে থাকতে দিন। তথ্যের খাতা করুন নিয়মিত ডায়রি লেখার অভ্যাস না থাকলেও প্রতি বছর যেসব ডায়রি উপহার পান সেগুলিকে হিসাবের খাতা না করে তথ্যের খাতা করুন। বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন ও খবরের কাগজ থেকে প্রয়োজনে লাগবে আমন নানা তথ্য সংগ্রহ করে লিখে রেখে দিন। মনের মধ্যে যেসব চিন্তা-ভাবনা আসবে সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেলুন। সদ্য পরিচিত ব্যাক্তিদের নাম, ঠিকানা, ফোন নং লিখে পাশে লিখুন তিনি কে, কবে আলাপ হয়েছিল। বন্ধু-বান্ধবদের জন্মদিন লিখে রেখে জন্মদিনের দিন তাঁদের ফোন করে দিন। এই ধরনের খাতাকে ইংরিজিতে বলে- 'পিলো' বুক(Pillow Book)। সময় নেই অজুহাত দেবেন না কারো কাছে বিস্বস্ত হতে চাইলে কখনো সময় নেই বলে অজুহাত দেবেন না। সবচেয়ে বোকার

বিল গেটস এর মতে সফলতার দশ সূত্র

বিল গেটস এর মতে সফলতার দশ সূত্র প্রতিবছর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস সাময়িকী। সে তালিকায় গত ২২ বছরে মোট ১৭ বার যাঁর নাম শীর্ষে ছিল, তিনি বিল গেটস। মাইক্রোসফটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, ভাষণে তরুণদের উদ্দেশে চমকপ্রদ সব পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাছাই করা দশটি পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হল ১. যত দ্রুত সম্ভব, শুরু করুন: বুড়ো বয়সে ‘যৌবনে কী-ই না করতে পারতাম!’—এই আফসোস যেন আপনাকে না ভোগায়। তাই বিল গেটস সব সময় বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায় নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্নপূরণের শুরুটা হলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা যতটুকুই থাকুক, অন্তত হাল ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে। ২. প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে: বিল গেটস বলছেন, ‘জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করা নেই, যে দশ সপ্তাহ পর পর আপনি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে “ব্রেক” বলেও কিছু নেই।’ অতএব, প্রতিদিন আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে। ৩. নিজেই নিজের বস হোন: আপনি নিজেই যদি নিজের স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তাঁর স্