পড়া মনে রাখার ৩টি বিশেষ কৌশল - লিখেছেন শিক্ষক T.K.Dey
১। নেমোনিক বা ছন্দ করে নাও - এটা হল কোনো কঠিন তথ্যকে সহজ ও পরিচিত জিনিসের সাথে জুড়ে বা কোনো ছন্দ তৈরি করে মনে রাখার কৌশল । যেমন সেই বিখ্যাত লাইন- বাবার হল আবার জ্বর সারিল ঔষধে - সম্বন্ধে তো সবাই শুনেছ । এটা মনে রাখলেই ইতিহাসের মোঘল বাদশাহদের নাম অর্থাৎ বাবর , হুমায়ুন , আকবর , জাহাঙ্গীর ,শাহজাহান ও ঔরঙ্গজেবের কথা পর্যায়ক্রমে মনে থাকে । ঠিক এরকম ভাবেই তোমাদেরকে নিজস্ব নেমোনিক ও ছন্দ বানিয়ে নিতে হবে । আরেকটি উদাহরন দিই - লালু অতি সুন্দর , ভুলু অতি কালো , লালু ভুলু দুজনেই ট্যারা এই কথাটি দিয়ে তুমি সারাজীবন ত্রিকোণমিতির প্রধান এই সূত্রটি মনে রাখতে পারবে ।
লালু [ লম্ব ] / অতি [ অতিভুজ ] = সুন্দর [ sinθ ] ।
ভুলু [ ভুমি ] / অতি [ অতিভুজ ] = কালো [ cosθ ] ।
লালু [ লম্ব ] / ভুলু [ ভুমি ] = ট্যারা [ tanθ ]
২। স্মৃতিপট ঃ তোমরা পটচিত্র দেখেছ ? অনেক মেলায় দেখবে বিক্রি হয় । শিল্পীরা পটের উপর সুন্দর সব ছবি ফুটিয়ে তোলেন । তারা কিন্ত এই সব ছবি আঁকেন মন থেকে । অর্থাৎ তাঁর কল্পনার সাহায্যে । তোমাকেও যেকোনো পড়া করার পর একটি মানসিক পটচিত্র তৈরি করে নিতে হবে । ইতিহাস ও ভূগোলের ক্ষেত্রে এটায় ভীষণ কাজে দেবে । ধরো তুমি বিদ্রোহ চ্যাপ্টার পড়লে - এবার মনে মনে সেই দৃশ্যগুলো কল্পনা করে রেখে দাও । খালি সময়ে একবার ভেবে নাও কিভাবে রনপা পরে সাওতাল বিদ্রোহের বিপ্লবীরা দৌড়াচ্ছেন । কিভাবে গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে অবিরাম ধারায় বরফ গলা জল বেরিয়ে গঙ্গা নদী হয়ে বয়ে যাচ্ছে , এমনই সব চিত্র । এভাবে একটা দৃশ্যপট করে মেমোরিতে সেভ করে রাখো । দেখবে পরীক্ষার হলে হুবুহ সিনেমার মতো সব মনে পড়ে যাবে আর গড় গড় করে লিখে ফেলতে পারবে ।
৩। নিজেই নিজের মাস্টারঃ বড় বড় নোট যখন কিছুতেই মুখস্ত হবে না তখন মোবাইলে রেকর্ড করো এইভাবে । নোটের শুরুতে নিজের নাম নিয়ে নিজেকেই বলো - " শোনো ______ , এই পড়াটা মন দিয়ে শোনো, ভালোকরে একবার শুনলেই তোমার মনে থেকে যাবে । এটা শোনার সময় মন দিয়ে শুনবে । শুধুমাত্র নোটের দিকেই মনোনিবেশ করবে " এইটুকু বলে নিয়ে তারপর রেকর্ড করো ।
এরপর এই রেকর্ডেড পড়া হেডফোন লাগিয়ে বেশ কয়েকবার শুনবে , দেখবে খুব তাড়াতাড়ি মুখস্ত হবে ।
আপাতত এই তিনটে পদ্ধতি ফলো করো উপকার পাবেই ।
লিখেছেন
শিক্ষক T.K.Dey [ M.Sc ]
Comments
Post a Comment